সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
কয়রায় সংকট নেই: চাহিদা মতো সার পাচ্ছেন কৃষকরা
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : কয়রায় চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি না হওয়ায় দেরিতে আমন চাষ করেছে কৃষকরা। ফলে কৃষকরা দীর্ঘদিন সার ক্রয় না করায় পর্যাপ্ত সার মজুদ থাকার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় বি সিআই সি ডিলাররা। এদিকে সার সংকট এবং বেশি দামে খুচরা ডিলাররা বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সব সময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত সার বীজ বেচাকেনার বিষয়ে মনিটারিং করছেন বলে কৃষি বিভাগ। জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ এখন রোপণ কাজ শেষ পর্যায়। যে কারণে বিগত আগস্ট মাসের সার কৃষকরা ক্রয় না করায় সারের অনেকটা মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন ডিলারার। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা সার বীজ মনিটরিং সভায় সকল বিসিআইসি ডিলারদের উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম ও কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকল বিসিআইসি ও খুচরা ডিলারদের সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি না নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং প্রতিটি দোকানে লাল কাপড়ে সারের মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিটি ডিলারকে কৃষকদেরকে সার বিক্রয়ের মূল্য তালিকা মেমো দিতে বলেন। সভায় বিসিআইসি ডিলারদের প্রতিনিধি জানায়, কয়রায় এই মুহ‚র্তে পর্যাপ্ত সার তাদের কাছে রয়েছে, কারণ গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা সময়মত বীজতলা এবং ধান রোপণ কাজ করতে না পারায় দীর্ঘ ১ মাস সার বেচাকেনা হয়নি। যে কারণে তাদের প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা ডিলারদের কাছে সার মজুদ আছে। তারা আরও বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করে কৃষকের হাতে ক্যাশমেমো দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে তাদের প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা ডিলারদের কাছে সার মজুদ আছে। মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর ও নজরুল গাজী জানান, ২ দিন আগে তারা রোপণ কাজ শেষ করেছে এবং চাহিদা-মত সার তারা কিনেছেন। এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, তিনি সম্প্রতি কয়েকটি বাজারে সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির প্রমাণসহ কোন কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. অছাদুজ্জামান বলেন, গত আগস্ট মাসে এ উপজেলায় ২৮১, সেপ্টেম্বরে ২৪১, এবং অতিরিক্ত আরও ৩০১ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং অন্যান্য সারও অনুরুপ বরাদ্দ পাওয়ায় এই মুহ‚র্তে সারের সংকট নেই। এ ছাড়া সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ডিলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 8,411,692 total views, 10,111 views today |
|
|
|